টুটুল, ভোলা জেলা প্রতিনিধি।
শারদীয় দূর্গাপূজাকে ঘিরে ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরীর কারিগরেরা । প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপেই এখন ধুম পড়েছে প্রতিমা তৈরীর কাজ পড়ে যাচ্ছে কারিগররা। প্রতিমা তৈরি কারিগররা কে কত সুন্দর করে প্রতিমা তৈরি করে মানুষের হৃদয় ছুঁতে পারে এমন প্রতিযোগিতার মহা উৎসব যেন লেগেছে পুজা মন্ডপ গুলোতে।
ভোলা জেলা সাতটি উপজেলায় এই প্রতিমা তৈরির বেশ জমজমাট আয়োজন চলছে। এই উপজেলা গুলোতে দক্ষ কারিগর দ্বারা প্রতিমা তৈরির বেশ আয়োজন চলছে। ভোলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে মন্দির কমিটির সমর্থ্য অনুযায়ী মন্দিরে দূর্গা প্রতিমা তৈরি করছে ।
দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরীর ধুম পড়লেও মূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় মধ্যে রয়েছে কারিগরেরা। মনপুরা উপজেলায় দূর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ করছেন, শ্রী হৃদয় দাস তিনি মনপুরা চর কলাতলীর বাসিন্দা এলাকার বেশিরভাগ মন্ডপের প্রতিমা তৈরী করেন তিনি ।
বিগত দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে অল্প দামে প্রতিমা নির্মাণ করেছিল পূজা মন্ডপ গুলো। এ বছর আশায় বুক বেঁধেছিলাম কিন্তু বৈশ্বিক যুদ্ধের কারণে সকল পণ্যের দাম বেড়ে গেছে তাই খরচ বাড়তি। মন্ডপ কমিটিও এ বাজেট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
ভোলায় কিছু কিছু উপজেলায় কয়েক জন পুরোহিতের সাথে কথাবলে যানা গেছে ১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে । এবছর দেবী মা দূর্গা গজে অর্থাৎ হাতিতে আগমন করবে যার অর্থ শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা আর মা দূর্গা বিজয় দশমীতে গমন করবে নৌকায় চেপে এর অর্থ শস্যবৃদ্ধি আশানুরূপ হলেও বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে কিছু শস্য নষ্ট হবে ।
জানতে চাইলে তজুমদ্দিন পূজা উদযাপন পরিষদ একজন সদস্য সৃজন মজুমদার জানান, আমরা এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি ডিজে পার্টি নামে অশ্লীলতার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবং মন্দিরে কোন ধরনের অশ্লীলতা কমাতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি প্রশাসন সর্বাত্মক সজাগ রয়েছে এবং তাদের দৃষ্টি রয়েছে আমাদের মন্ডপ গুলির উপর কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা কেউ যেন ঘটাতে না পারে আমরা সতর্কতার সহিত বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। এবং সর্বোদা আপনাদের পাশে থাকবো।