যশোর প্রতিনিধি :
যশোরের চৌগাছায় মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলায় খোকন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম খোকন (৪৭)নামে এক মাদক ব্যবসায়ি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৫ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে আহতের ভাগ্নে রাজু আহমেদ নিশ্চিত করেছেন।
খোকন চৌগাছায় উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ইসহকের ছেলে এবং একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাধীণ।
খোকনের সাথে অবস্থান করা তার ভাগ্নে রাজু আহমেদ এবং মিলন নামে তার এক প্রতিবেশি জানিয়েছেন, বুধবার দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে নিজ রুমে ঘুমাতে যান খোকন।
পরে গভীর রাতে সীমান্ত ঘেষা ভারতের দৌলতপুর (ইন্ডিয়াপাড়া) গ্রামের হবিবরের ছেলে পেশাদার মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ি এবং কুখ্যাত সন্ত্রাসী সানোয়র ওরফে ফেন্সি সানোয়ার, উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মৃত খোরশেদের ছেলে কাশেমের সাথে দীঘদিন থেকে মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চলে আসছিল। এঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে খোকনের ঘরের জানালা দিয়ে তার উপর ৬ রাউন্ড গুলি করে। এতে তিনি মারত্মক জখম হন। পরে স্থানীয় লোকজন শব্দ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছ ও পরে যশোর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
যশোর মেডিকেল কলেজের ডাক্তার আব্দুর রশিদ জানান, গুলির আঘাতে খোকনের বাম হাতের দুটি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। অপর একটি গুলি তার বুক ভেদ করে পিট দিয়ে বেরিয়ে যায়।
ঘটনার বিবরন দিতে গিয়ে তার ছোট ভাই বাবু বলেন, ওই রাতে ভাইয়ের চিৎকার শুনে আমি দ্রুত ছুটে আসি। এসে দেখি আমার ভায়ের হাতে এবং পেটে গুলি লেগেছে। আরও তিনটা গুলি ঘরের মধ্যে দেয়ালে লেগে ছিল। ঘরের মেঝেতে গুলির খোসাও পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি তোতা মিয়া জানিয়েছেন, মাদক সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই খোকনের উপরে এই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চৌগাছা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধূরী বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।