“বিশ্ব শিক্ষক দিবস” জগৎ মোহনে কেক কেটে উদযাপন

Date: 2023-10-06
news-banner

বার্তা বিচিত্রা সর্বশেষ সংবাদ পেতে Google news অনুসরণের জন্য ক্লিক করুন


আব্দুল্লাহ আল মামুন (প্রধান প্রতিবেদক): 

আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস। শিক্ষকদের বলা হয় জাতি গঠনের কারিগর। একজন মানুষের জীবনে মা-বাবার পরেই জীবন গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন তার শিক্ষক। শিক্ষকদেরকে স্মরণ করা এবং তাঁদেরকে সম্মান জানানোর জন্য ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কোর ২৬ তম অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ইউনেস্কো মহাপরিচালক ড. ফ্রেডারিক এম মেয়রের যুগান্তকারী ঘোষণার মাধ্যমে ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালনের শুভ সূচনা করা হয়। 

তবে ১৯৯৫ সালের ৫ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর ১০০ টি দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে। এটি দেশ বিদেশে ‘শিক্ষক’ পেশাজীবিদের জন্য সেরা সম্মান। মানুষ গড়ার কারিগর এই শিক্ষকরাই বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করে আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে সাহায্য করেন। সেই নিঃস্বার্থভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া শিক্ষকদের জন্যই আজকের দিনটি। 

এ উপলক্ষে রাজধানীর লালবাগ থানাধীন জগৎ মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেকে কেটে “বিশ্ব শিক্ষক দিবস” এর কর্মসূচীর শুভ সূচনা করেন বিদ্যালয়টির শিক্ষকবৃন্দ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অতঃপর র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও আজকের আয়োজনে ছিল শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান। এ সময় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা তাদের উপস্থিত বক্তৃতায় প্রিয় শিক্ষকদের প্রসংশায় আনন্দসূখে ভাসিয়েছেন তাঁদের। 

এ বছর শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “The teachers we need for the education we want: The global imperative to reverse the teacher shortage” অর্থাৎ আমরা যে শিক্ষা গ্রহণ করতে চাই তার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষক: শিক্ষকের স্বল্পতা কাটানো বৈশ্বিক দাবি। 

শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণসহ নানা অপূর্ণতার মধ্যে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করছে সরকার। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন- আদর্শ জাতি গঠনের মহান কারিগর শিক্ষকগণ সর্বদা জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আলোকবর্তিকা হিসেবে নিবেদিত প্রাণ। শিক্ষকরা সমাজের বাতিঘর এবং সুনাগরিক গড়ার প্রধান প্রকৌশলী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, শিক্ষার মূল চালিকা শক্তি হলো শিক্ষক। শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। শিক্ষকের অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে। শুধু পুঁথিগত বিদ্যা বিতরণ নয়, একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তার আচার-আচরণের গুণগত পরিবর্তন সাধন, নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি স্থাপন করে দেয়াও শিক্ষকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষক হলো সমাজ গঠনের মূল কারিগর। শিক্ষক নবীন প্রজন্মকে জ্ঞান বিতরণ করেন, স্বপ্ন দেখান, তাদের মধ্যে বিশ্বাসের বীজ বপন করেন। যার ফলে নবীন প্রজন্ম সুশিক্ষিত, দক্ষ, যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে। আমরা যদি সভ্যতার দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই প্রতিটি সভ্যতা গড়ার পিছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন শিক্ষকগণ। 

সরকার উচ্চ শিক্ষাসহ গবেষণা খাতকে সমৃদ্ধ করতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে আদর্শ ও সৃজনশীল নাগরিক গড়ার জন্য দক্ষ ও সৃষ্টিশীল শিক্ষকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই শিক্ষার সকল পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন।

Leave Your Comments