মিঠাপুকুরে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ: অর্থের বিনিময়ে দফারফা

Date: 2024-02-11
news-banner

বার্তা বিচিত্রা সর্বশেষ সংবাদ পেতে Google news অনুসরণের জন্য ক্লিক করুন



রতন বাবু স্টাফ রিপোর্টারঃ

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের শালমারা বাজার সংলগ্ন এলাকায় দুই সন্তানের জনক কর্তৃক সাত বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অর্থের বিনিময়ে দফারফা করার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শালমারা বাজার বজলার রহমানের ছেলে মুসা মিয়া(৫৫) এর বাড়িতে প্রতিবেশী সাত বছরের শিশুটি গৃহস্থালি কাজের জন্য ব্যবহৃত ধারকৃত খুন্তি ফেরত দিতে যায়।দীর্ঘসময় শিশুটি ফেরত না আসায় তার মা শিশুর খোঁজে মুসা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় শিশুটি মেঝেতে পড়ে রয়েছে।তখন বাচ্চার মা চিৎকার দিয়ে বলেছেন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে ওই মুসা।পরে অসুস্থ্য অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।অবস্থার অবনতি ঘটলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

হাসপাতালে অবস্থানরত শিশুর পিতা জানান, আমি গরীব মানুষ।কেস করে কি করবো।মুসা মিয়ার জমিতে আমার ছোট ভাই ১০/১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে খামার নির্মাণ করছে।সেই খামারে আমি কাজ করে খাই।এখন যদি মামলা করি ওরাতো বের করি দিবে।তখন আমি কি করি খাবো।আমার ছোট ভাই আছে,মিজান আছে।তারা যা করার করবে।এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।

অভিযুক্ত মুসা মিয়ার ভাই রায়হান কবির জানান,এটা আমাদের বিরোধী গ্রুপের ষড়যন্ত্র।আমার ভাইয়ের নাতনির বয়সী এই মেয়ে।শিশুটি হয়তো ভয় পেয়েছিলো।অই শিশু নিয়মিতই আমাদের বাসায় যাতায়াত করে।ওরা নিয়মিতই খুন্তি,কুড়াল,কোদাল সব আমাদের বাসা থেকে নিয়েই কাজ করে।সেদিন ও শিশুটি খুন্তি ফেরত  দিতে আসছিলো।তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে সমাধান হয়ে যাবে।

এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা  যায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেণ্টারে ভর্তি হয়েছে।এ বিষয়ে শিশুর পরিবারের কেউ কথা বলতে নারাজ।মেডিকেলে অবস্থানরত শিশুর চাচার বন্ধু মিজান জানান,ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।শিশুটি প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলো।হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ধর্ষিত শিশুর পরিবারের নিকটাত্মীয় জানায় বাচ্চাটিকে ধর্ষণ না হলে কেন ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেণ্টারে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বিষয়ে একটি সমাধান হয়েছে।শিশুর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ।আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিউজ করিয়েন নাহ।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডাঃ আঃ মঃ আখতারুজ্জামান জানান,আমি গতকাল ছিলাম নাহ।এবিষয়ে আমার জানা নেই। পরিচালক স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। শিশুটির শারীরিক অবস্থা জানতে  রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ ইউনুস আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নজরুল ইসলাম জানান,বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম।ভিকটিমের পরিবারকে মামলা করার জন্য বলা হয়েছে।কিন্তু তারা অজুহাত দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে। ধর্ষিত না হলেও শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অভিযোগ  দিলেই মামলা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বিট পুলিশ এস আই সাইয়ুম হোসেন জানান,এমন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে এসেছি,তবে ধর্ষণ না হলেও ধর্ষণের চেষ্ঠার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে তারা কেন যে অভিযোগ করছে না তা বুঝতে পারছি না।

Leave Your Comments