মিঠাপুকুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ।

Date: 2024-03-27
news-banner

বার্তা বিচিত্রা সর্বশেষ সংবাদ পেতে Google news অনুসরণের জন্য ক্লিক করুন


মোঃ রতন বাবু স্টাফ রিপোর্টার।।


রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার দূর্গামতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে 

বাড়ির কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। কর্তনকৃত গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায়-লক্ষাধিক টাকার উপর হবে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যক্তি।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার ১৩ নং শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের দূর্গামতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা ৪ টি ইউক্লিটাস গাছ কর্তন করেন বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোবাশ্বরুল ইসলাম। কোনো রকমের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের স্হানীয় সাংসদের অনুসারী পরিচয় দিয়ে বিদ্যালয়টি বন্ধকালীন গাছগুলো কর্তন করে বাড়ির কাজে ব্যবহার করেছেন তারা। এছাড়াও ঘরের টিন, ভাঙা ব্রেঞ্চের লোহা বিক্রয় করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। 


সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সামনের অংশে ৩ টি বড় আকৃতির ইউক্লিপট্যাস গাছ এবং একটি উপড়ে পড়া গাছের গোড়া পড়ে আছে। এসময় স্থানীয়রা জানান, তিনটি গাছ কর্তনের পরে বাতাসে পড়ে যাওয়া অন্য গাছটিও নিয়ে গিয়েছেন আশরাফুল এবং মোবাশ্বরুল ইসলাম। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, গাছ কর্তনের বাঁধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা স্থানীয় সাংসদের পরিচয় দিয়ে হুমকি ধামকি প্রদাণ করেন।


গাছ কর্তনের বিষয়ে অভিযুক্ত মোবাশ্বরুল ইসলাম জানান, আমি কোন গাছ কর্তন করিনি। গাছ কর্তন করেছে আশরাফুল এবং আমি তাকে সহযোগিতা করেছি। টিনও লোহা বিক্রয় করার বিষয়টি তার জানা নাই। অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম জানান, আমি গাছ কর্তন করেছি,তাতে কার বাবার কি? গাছ কর্তনে কে আমার কি করতে পারবে! যদি কারো কিছু করার থাকে করতে বলেন।


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদ খান জানান, গাছ কাটার বিষয় তিনি কোন কিছু জানতেন না।পরে মুঠোফোনে স্থানীয়রা তাকে গাছ কাটার বিষয়টি জানালে বিদ্যালয়ে গিয়ে তিনি বিষয়টির সত্যতা পেয়ে সাথে সাথে উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। তিনি বলেন - লোহা বিক্রয় করার বিষয়টি আমরা সবাই বসে আলোচনা করে করেছি। মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ের টিন চুরি হওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তবে কারা চুরি করে বিক্রি করছে তা তিনি স্বীকার করেননি।


এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার-আকতারুল ইসলাম জানান, গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave Your Comments