আমতলীর সদ্য এমপিওভুক্ত ডঃশহিদুল ইসলাম কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ।

Date: 2023-04-01
news-banner

বার্তা বিচিত্রা সর্বশেষ সংবাদ পেতে Google news অনুসরণের জন্য ক্লিক করুন


আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:নুরুল হক লিটন  বরগুনার আমতলীর সদ্য এমপিওভুক্ত ডঃশহিদুল ইসলাম কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা  যাতে না হয় তার জন্য ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ড: মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চরকগাছিয়া গ্রামের মোঃ হাসানুজ্জামান কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজে প্রভাষক হিসাবে কর্মরত আছেন  তার ইনডেক্স নম্বর-১৯২০৪০২৩।

২০১৩ সাল থেকে ডঃ শহিদুল ইসলাম  কলেজের অধ্যক্ষর দায়িত্ব রয়েছেন মাসুমা আক্তার খাদিজা । মাসুমা আক্তার খাদিজা ২০১৪ সালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দেবর হাসানুজ্জামান  ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। হাসানুজ্জামান  ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্বে থাকা  অবস্থায় কলেজের সভাপতির স্বাক্ষর জাল জালিয়াতী করে নিজেকে অধ্যক্ষ নিয়োগ করেন  কলেজের সভাপতি জানান। এসময় অবৈধ ভাবে জালজালীয়াতী করে বেশ  ও  কয়েকজন নিয়োগপত্র প্রদান করে  উৎকোচ গ্রহন  করেন।  গত ৬ জুলাই ২০২২ ইং তারিখে কলেজটি এমপিও  ভুক্ত হয়।

গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখ  রাতে  ড. মোঃ শহিদুল ইসলাম কলেজের অফিস কক্ষ ভেঙে অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেজিস্ট্রার খাতা হাজিরা খাতা, রেজুলেশন খাতাসহ প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র  অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা নিয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়ে যায় কলেজ কর্তপক্ষ  যা আমতলী থানায় ৩/০৯/২০২২ ইং তারিখ সাধারণ ডায়েরী করা হয় নম্বর-১৪৪।

ড. মোঃ শহিদুল ইসলাম কলেজটি এমপিও ভুক্ত হবার পর হাসানুজ্জামান তার নিয়োগকৃতদের চাকুরী নিশ্চিত করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে হুমকি প্রদান করে কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন।
এ অবস্থায়  কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারীদের  মধ্যে  চরম হতাশা নেমে এসেছে। তারা হাসনুজ্জামানের বিচার দাবী করেছেন।

এ বিষয় হাসানুজ্জামান  মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে  আনীত অভিযোগ তিনি অস্বিকার করেন।

অবহেলিত এই জনপদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষার প্রসারে গতিশীল পদক্ষেপ  গ্রহন করার জন্য বরগুনা জেলা প্রশাসক ,শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন  কলেজের শিক্ষক কর্মচারী অভিভাবক ও এলাকার জনসাধারন।

 

Leave Your Comments