ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার কোনো পরোয়া করেন না শেখ হাসিনা: ওবায়দুল কাদের

Date: 2024-01-04
news-banner

বার্তা বিচিত্রা সর্বশেষ সংবাদ পেতে Google news অনুসরণের জন্য ক্লিক করুন

 

প্রধান প্রতিবেদক:

 

বিএনপি যতই আটলান্টিকের ওপারে তাকিয়ে থাকুক না কেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার কোনো পরোয়া করেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারী) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশ তিনি একথা বলেন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা কোনো বিদেশি শক্তির হুমকি-ধামকির পরোয়া করেন না। তিনি ভয় পান একমাত্র আল্লাহকে। তিনি ভালোবাসেন বাংলাদেশের জনগণকে। বিএনপি যতই আটলান্টিকের ওপারে (যুক্তরাষ্ট্র) তাকিয়ে থাকুক, শেখ হাসিনা ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার কোনো পরোয়া করেন না।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে চিরতরে লাল কার্ড দেখাতে হবে। ওরা অপেক্ষা করছে আটলান্টিকের ওপার থেকে স্যাংশন আসবে। শেখ হাসিনা ভিসানীতি ভয় পান না। তারেক রহমান টেমস নদীর ওপার থেকে বোমা মারার নির্দেশ দিয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। তারা লাল কার্ড পেয়ে পালিয়ে গেছে। এখন হবে ফাইনাল খেলা। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

 

ছাত্র রাজনীতিকে সাধারণ ছাত্রদের জন্য আকর্ষণীয় করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, স্মার্ট মানে ভাষণ দেয়া নয়। মানুষের মনের ভাষা বুঝতে হবে। এই দেশ ভালো লোকদের হাতে থাকলে উন্নয়ন হবে। আর ভালো লোক না এলে রাজনীতি মূল্যহীন। তাই রাজনীতিতে মেধাবীদের আসতে হবে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলের, তাদের রুটিন লাইফ লিড করতে হবে। নেতা হতে হলে নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করতে হবে। পড়াশোনাও করতে হবে।

 

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। পরে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে টিএসসি, শাহাবাগ, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট, শিক্ষাভবন, সবিচালয় ও জিপিও হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। 

Leave Your Comments