দাতা সদস্য নির্বাচনে প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে সু-স্পষ্ট স্বাক্ষ্য প্রমাণ থাকা সত্বেও রায় নিয়ে সংশয়

Date: 2023-01-16
news-banner

বার্তা বিচিত্রা সর্বশেষ সংবাদ পেতে Google news অনুসরণের জন্য ক্লিক করুন


এস আই খানঃ


নরসিংদী জেলাধীন বেলাব উপজেলার নারয়নপুর সরাফত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমানসহ এর সাথে জড়িত আরও ১১জনের বিরুদ্ধে চলমান কমিটির পরবর্তি কমিটির দাতা সদস্য নির্বাচনের জন্য সদস্য ফি গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যপক অনিয়ম, অসদাচরণ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সহকারী জজ আদালত, নরসিংদীতে একটি দেওয়ানী মামলা (দেওয়ানী মোকাদ্দমা নং-৫৬/২০১৯) করেন চলমান কমিটির নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যগণ বিদ্যোৎসাহী সদস্য মোঃ খোরশেদ আলম।


তবে সকল তথ্য স্বাক্ষ্য প্রমাণ থাকার পরেও গত ২৮/১১/২০২২ইং তারিখে আদালত প্রধান শিক্ষক তথা বিবাদির পক্ষে মৌখিক রায় দিয়ে মামলা খারিজ করে দেন। রায়ের কোনো লিখিত কপি আইনজীবীরা এখনো পায়নি। এদিকে বাদী পক্ষ অসুন্তুষ্ট হয়ে উচ্চ আদালতে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেন জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী।


গত ১৮/০৪/২০১৯ইং তারিখে বেলাব উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর করা অীভযোগ করার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন ২৮/০৪/২০১৯ ইং তারিখে একটি শুনানীর দিন নির্ধারণ করেন। এর সাথে সম্পৃক্ত সকলের স্বাক্ষ্য তথ্য প্রমানাধির পর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার একটি প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাাহী অফিসার বরাবর প্রেরণ করেন। বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার (সাবেক) বলেন, সকল তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সম্পূর্ণরূপে সরকারী বিধি লঙ্ঘন করে করেছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ সত্য তিনি অপরাধের সথে সরাসরি জড়িত।


এছাড়াও মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এর চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করা হলে বোর্ড থেকে ২৪/০৭/২০১৯ ইং তারিখে একটি স্বারকের মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্তের জন্য জেলা শিক্ষা অফিস, নরসিংদীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ২৪/০৮/২০১৯ইং তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার সরেজমিনে তদন্ত করে ২২/০৯/২০১৯ইং তারিখে একটি তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষাবোর্ডে প্রেরণ করেন। সেখানেও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধ আনিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে প্রধান শিক্ষক তার অনিয়মের কথা স্বীকার করেন। 


পরবির্তীতে মামলার বাদী বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা তাদের স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহন উপস্থাপন করে সকল শুনানী শেষ হয়েছে বলে জানান বাদী বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা। তবে বাদী পক্ষের আইনজীবীর বিশ^াস সকল তথ্য প্রমাণ, জেলা শিক্ষা অফিসারের  তদন্ত রিপোর্ট উপস্থাপন স্বাক্ষ্য প্রমাণ বাদীপক্ষের অনুকুলে। মামলায় অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যে অনিয়ম সরকারী বিধি লঙ্ঘন করেছে তা সু-স্পষ্ট। তাই রায়ে প্রধান শিক্ষক দোষী সাব্যস্ত হবে বলে মনে করেন। সেই সাথে বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হবে। এছাড়াও ১৮/০৪/২০১৯ইং তারিখে যাদের দাতা হিসেবে নির্বাচন করা হযেছে সে অনিয়মের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে পুনরায় নতুন করে দাতা সদস্য প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য আদালত কর্তৃক আদেশ আসবে বলে বাদীপক্ষের বিশ^াস।


বাদীপক্ষের এক আইনজীবী এড. জাহাঙ্গীরা আক্তার কল্পনা বলেন, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকারী বিধি সম্পূর্ণরুপে লঙ্ঘন করে অত্র বিদ্যালয়ে দাতা সদস্য নির্বাচন করেছে যার সকল তথ্য স্বাক্ষ্য প্রমাণ আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি। মামলার রায় কিভাবে আমাদের বিপক্ষে যায়? তবে বিজ্ঞ আদালত সকল স্বাক্ষ্য প্রমাণ আইনের ভিত্তিতে আমাদের একটি স্বস্তির রায় দিবেন এমনটায় আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম। তবে রায়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জেলা শিক্ষা অফিসারের তদন্ত প্রতিবেদনে সেই সত্যতা থাকলেও আদালত মিথ্যা প্রমাণ করল। তবে আমরা বিজ্ঞ আদালতের রায়ের নকলের জন্য আবেদন করেছি, নকলটি হাতে আসলে আপিলের জন্য উচ্চ আদালতে দারস্ত হবো তবে আশারাখি খুব শীঘ্রই মামলার রায় পরিবর্তন হবে এবং অনিয়মের মাধ্যমে নির্বাচিত দাতা সদস্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে পুনরায় দাতা সদস্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের রায় উচ্চ আদালত থেকে পাবো।


তবে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী এড. মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, মামলার সকল শুনানী শেষে গত নভেম্বরে বিজ্ঞ আদালত মামলার রায় দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন মামলার রায়ে প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত নয়।

Leave Your Comments