ইমু আইডি হ্যাক চক্রের ০৬ সদস্যকে আটক করেছে ডিবি

Date: 2022-11-07
news-banner

বার্তা বিচিত্রা সর্বশেষ সংবাদ পেতে Google news অনুসরণের জন্য ক্লিক করুন

স্টাফ রিপোর্টার :মোঃ শহিদুল ইসলাম জনী// 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি অপব্যবহারকারী 
সংঘবদ্ধ ইমু আইডি হ্যাকার চক্রের মূলহোতাসহ ০৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন নাম- ১। মোঃ আব্দুল মমিন (১৮), ২। মোঃ রবিউল ইসলাম@রবি (১৮), ৩। মোঃ শহিদুল ইসলাম@শহিদ (১৯), ৪। মোঃ সাব্বির (১৮), ৫। মোঃ চাঁন মোল্লা (৩৫) এবং ৬। মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৬)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২ টি মোবাইল ফোন, হ্যাকিং কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ১৯ টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (৬নভেম্বর) ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই চক্র কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশের গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগ।

সোমবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ।

 
আসামিদের বরাত দিয়ে মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, উল্লেখ্য গত (৯ অক্টোবর) রাতে ভিকটিম নুরুল ইসলামের বড় ভাই কাতার প্রবাসী কাশেম এর ইমু আইডি হতে একটি মেসেজ আসে “আমার টাকার প্রয়োজন, আমি বিকাশ নাম্বার পাঠাইলে টাকা দিও”। পরের 
দিন (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২.০০ ঘটিকায় ভিকটিম নুরুল ইসলামের ইমু আইডিতে আর একটি মেসেজ আসে “আজকে বিকাশের রেট কত? “২৫০০০/=টাকা পাঠানো যাবে”। এরপর আরো কয়েকটি মেসেজ ও ভয়েজ মেসেজ আসে। ভিকটিম নুরুল ইসলাম সেই মেসেজের উপর ভিত্তি করে হ্যাকারদের দেয়া বিকাশ নাম্বারে তিনবারে (২৫০০০+২৫০০০+১৫০০০)=৬৫০০০/= টাকা পাঠায়।

 তিনি বলেন, পরবর্তীতে ভিকটিম তার বড় ভাইয়ের ইমু আইডি বন্ধ পেলে তার ভাবীর ইমু আইডি থেকে বড় ভাই মোঃ আবুল কাশেমকে ৬৫,০০০/= টাকা পাঠানোর কথা জানায়। প্রতিউত্তরে তার বড় ভাই কাতার প্রবাসী কাশেম তার ইমু অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং সেই ইমু আইডি হতে বিভিন্ন ইমু আইডিতে মেসেজ দিয়ে টাকা চাওয়া হয়েছে। ভিকটিম তার প্রবাসী বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয় যে, তার টাকা হ্যাকারা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে। 

গোয়েন্দা প্রধান আরো বলেন, এরা মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ইমো অ্যাকাউন্ট টার্গেট করে হ্যাংকিংয়ের ফাঁদ পাতে। পরবর্তী সময়ে দেশে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনের ইমো নাম্বারে অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার কথা বলে মোটা অংকের টাকা চায়। এভাবে ৫০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আর কীভাবে হ্যাকিং করতে হয়, কীভাবে মানুষকে মিষ্টি কথায় ভোলাতে হয় সে বিষয়ে তারা ট্রেনিং নিয়ে থাকে। তাদেরও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা পরষ্পরের যোগসাজসে তথ্য প্রযুক্তি অপব্যবহারের মাধ্যমে সংঘবদ্ধ 
ইমু আইডি হ্যাকিং চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। 

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপি’র ওয়ারী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ তরিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আহসান খানের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

Leave Your Comments